সাজীদ হোসেন কিবরিয়াঃ বন্দর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন উপলক্ষে ধামগড় ইউনিয়ন পরিষদের মাঠ প্রাঙ্গনে আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বন্দর উপজেলা জনপ্রতিনিধি বৃন্দ,আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির নেতৃবৃন্দদের সাথে উন্নয়ন মূলক মতবিনিময় সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ ৫ আসনের মাননীয় সাংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা এ কে এম সেলিম ওসমান।প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন আমাদের ভবিষ্যতে বন্দর উপজেলা পরিষদ কে সুন্দর করার লক্ষে আমি সকল চেয়ারম্যান কে অনুরুধ করেছি একটি উন্নয়ন মূলক সভার আয়োজন করতে।বন্দরের মানুষ আমাকে কতটুকু ভালবাসে তা আমি নির্বাচনে প্রমান পেয়েছি সে জন্য আমার আসতে হয়। আমি অসুস্থ হয়ে ও আপনাদের ভালবাসার কারণে আসতে পেরেছি। আপনারা জনানেন না আমি আমার সকল চেয়ারম্যান কে বলেছি ভবিষ্যতে বন্দর উপজেলা পরিষদ উন্নয়ন করার জন্য আমি দুইজনকেই চেয়েছিলাম রশিদ ভাই কে ও সানুকে।আমি সব ইউনিয়ন চেয়ারম্যান দের কাছে অনুরুধ করলাম আমরা আর কয়দিন বাচঁবো,তোমারা নির্বাচন করতে পারবা সময় আছে অনেক তোমাদের।বন্দর উপজেলার জন্য আমি চাইছি এই দুইজনকে আমাকে তোমরা দেও।তিনি মাকসুদ চেয়ারম্যান কে উদ্দেশ্য করে বলেন আমি মাকসুদ চেয়ারম্যান কে অনুরুধ করবো আপনি ফিরে আসেন ভালো ভাবে ফিরে আসেন আমি কিছু বলবো না, আপনি আসেন আমার কথা শুনেন।আর বেশি বাড়া বাড়ি যদি করতে চাও তা হলে তোমার জন্য ও মুগুর আমি সেলিম ওসমান রেখেছি। তিনি আরো বলেন মাকসুদ চেয়ারম্যান আপনি এত টাকার উৎস কোথায় থেকে,এত টাকা ঘরে ঘরে গিয়ে টাকা দেন, শুনতে পেয়েছি এখন পর্যন্ত তিন কোটি টাকা বিলি করে ফেলেছেন সব খবর আছে আমার কাছে।আমি বলে দিলাম আপনি সব কিছু ভুলে আসেন আমার ছেলের পরিচয় দিয়েন তার পর ও আমি লাষ্ট অনুরোধ করবো ফিরে আসেন।আমি মাকসুদ হোসেন তোমাকে বলতে চাই ঘরের ছেলে ঘরে ফিরে আসো।অপর প্রার্থী আতাউর রহমান মুকুল কে উদ্যেশ করে সেলিম ওসমান বলেন তুমি আমার ভাই তুমি ফিরে আসো তোমার কোন দল নাই তোমাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এই নির্বাচন থেকে তুমি সরে দাড়াও।আমি সেলিম ওসমান এম এ রশিদ ভাইয়কে সালাম করে আমি প্রথম মঞ্চ উঠি তিনি আমার পিতা এ কে এম শামসুজ্জুহার কর্মী,আমার পিতার কর্মী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর আদর্শের সৈনিক তাই বলে দিলাম রশিদ ভাইকে নির্বাচিত করেন বন্দর উপজেলা ভবিষ্যত সাজানোর জন্য।আমি আরো বলতে চাই আমার বড় ভাই প্রয়াত নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা নাসিম ওসমানের সৈনিক তাই আমি সানুকে সমর্থন দিয়েছি।রশিদ ভাই নির্বাচনে অংশ গ্রহন করতে চায় নাই।আমি বলেছিলাম আপনি রশিদ ভাই বন্দর উপজেলায় নির্বাচন না করেন তা হলে আমি সাংসদ থেকে রিজেন্ট দিবো, কারন আমি কোন রাজাকারের সন্তানের সাথে বসতে পারবো না।আমি মাকসুদ আপনাকে বলি আবার ও বলি আপনি একটা জনসমাবেশ আয়োজন করেন রশিদ ভাইয়ের হয়ে কাজ করেন সমর্থন দেন রশিদ ভাইকে ঐ সমাবেশ থেকে। আমি আসবো আপনার সমাবেশ অনুষ্ঠানে।আমি আরো বলতে চাই স্বপ্ন যতই দেখেন লাভ নাই কারন স্বপ্নের ৮০% স্বপ্ন পূর

হয়ে গেছে আমি বলে দিলাম।আমার ছোট ভাই মুকুল কে বলি তোমাকে তো তোমার দল থেকে বহিষ্কার হয়েছো নির্বাচন করার দরকার কি তুমি তো বন্দরেরই ছেলে আসো এক সাথে কাজ করো তুমি নবীগঞ্জ স্কুলের সভাপতি হয়ে থাক।আমি বলে দিলাম মাকসুদ চেয়ারম্যান কে মুছাপুরে একটা জনসভা দেন আমি আসবো আমি এই টুকু বলতে চাই আমি যদি বলি মাকসুদের বউ ও মাকসুদ কে ভোট দিবে না।আপনারা সকলে আমার জন্য দোয়া করবেন বন্দর উপজেলা নির্বাচন হলে আমি দেখবেন আল্লাহর রহমতে সুস্থ হয়ে যাবো।তিনি আরো বলেন আমার চেয়ারম্যানরা সন্তান তুল্ল্য সেই সন্তানরা যে ভাবে আছে আমার পাশে।আমার বিশ্বাস মাকসুদ কে ত্যাজ্য পুত্র করতে হবে না সে আসবেই আমার কাছে এটা আমি বিশ্বাস রাখি ।মাকসুদ আপনার ব্যাপারে আমি জানতাম না পরে জানতে পারলাম আপনি রাজাকারের পত্র। সেই রাজাকারের সন্তান হয়ে কি ভাবে আমার জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ছবি ব্যানার ফেস্টুনে ব্যাবহার করেন।তিনি পরিশেষে বলেন মুকুল আপনি নির্বাচন  থেকে সরে দাড়ান আর লাষ্ট অনুরোধ করবো মাকসুদ তুমি ঘরের ছেলে ঘরে ফিরে আসো।কলাগাছিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম কাশেম এর সঞ্চলনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব কাজিম উদ্দিন প্রধান।ধামগড় ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব ওসমান গনী ভূইয়া এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বন্দর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বন্দর উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ রশিদ। নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি ও বন্দর উপজেলার ভাইষ চেয়ারম্যান সানাউল্লাহ সানু, কলাগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাজ্বী দেলোয়ার হোসেন প্রধান,বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এহসান উদ্দিন,নারায়ণগঞ্জ মহানগর জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও ২৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃআফজাল হোসেন,বন্দর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইষ চেয়ারম্যান সালিমা হোসেন শান্তা, বন্দর থানা জাতীয় পার্টির সভাপতি বাচ্চু প্রধান,ধামগড় ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মাসুম আহম্মেদ,মদনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এম এ গাজী সালাম,বন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আজিজুল হক আজিজ,বন্দর থানা আওয়ামী লীগ নেতা ও ২৬ নং ওয়ার্ড এর সাবেক কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেন আনু,বন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃশাহজাহান মোল্লা, বন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আক্তার হোসেন বি এ,বন্দর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ফয়সাল কবির,বন্দর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলী,সিনিয়র সহ-সভাপতি প্রকৌশলী হাসানুজ্জামান,বন্দর থানা যুবলীগ নেতা অহিদুজ্জামান অহিদ,কলাগাছিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা ও ব্যবসায়ী আহম্মেদ তুষার মাইন উদ্দিন।নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মিশুক,নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক মুক্তি যোদ্ধা সম্পাদক আরাফাত কবির ফাহিম, কলাগাছিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোঃবিল্লাল হোসেন,মেম্বার হাজ্বী আইয়ুব হোসেন।ধামগড় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা মোঃমিজানুর রহমান মিজান,মদনপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা মোস্তফা ভূইয়া সহ বন্দর উপজেলা সকল জনপ্রতিনিধি ও আওয়ামী লীগ জাতীয় পার্টির সকল নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।